মাসি পিসি
2
"খুনসুটি রাখো দিকি কৈলেশ তোমার।" উক্তিটি কে করেছিলেন?
উত্তরঃ
উক্তিটি মাসির।
3 সালতি'শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ
শালকাঠ নির্মিত বা তালকাঠের সরু ডোঙা বা নৌকা।
4 শকুনেরা উড়ে এসে কোথায় বসেছে?
উত্তরঃ
পাতাশূন্য শুকনো গাছটায়।
5 মাসি-পিসি' গল্পে চৌকিদারের নাম কী?
উত্তরঃ
কানাই।
06
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কী ?
উত্তরঃ
প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
07
মাসির শাশুড়ি ননদ কেমন ছিল ?
08
'মাসি-পিসি' গল্পটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ?
উত্তরঃ
কলকাতার 'পূর্বাশা' পত্রিকায় ।
09
‘পাঁশুটে' শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ
ছাইবর্ণবিশিষ্ট বা ফ্যাকাশে।
10
'ব্যঞ্জন' শব্দের অর্থ কী ?
উত্তরঃ
রান্না করা তরকারি।
11
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকৃত নাম কী ?
উত্তরঃ
প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
12
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম প্রকাশিত গল্পের নাম কী ?
উত্তরঃ
'অতসীমামী'।
13
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন কত সালে ?
উত্তরঃ
১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ১৯ মে।
14
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ি কোথায় ?
উত্তরঃ
ঢাকার বিক্রমপুরে।
15
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কবে মৃত্যুবরণ করেন ?
উত্তরঃ
১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর।
16
মাসি-পিসির মাঝখানে গুটিসুটি হয়ে কে বসে থাকে ?
উত্তরঃ
আহ্লাদি ।
17
আহ্লাদি কোন পর্যন্ত ঘোমটা টেনে দেয় ?
উত্তরঃ
সিঁথির সিঁদুর পর্যন্ত ।
18
মাসি-পিসির গলার স্বর কেমন ?
উত্তরঃ
ঝরঝরে।
19
কৈলাশের সঙ্গে অপুর কোথায় দেখা হয়েছিল ?
উত্তরঃ
চায়ের দোকানে ।
20
“লোকটা কেমন বদলে গেছে মাসি"- কার কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ
অপুর কথা বলা হয়েছে।
21
“বজ্জাত হোক, খুনে হোক, জামাই তো”—কথাটি কার ছিল ?
উত্তরঃ
কথাটি মাসির ছিল।
22
বুড়ো রহমান ছলছল চোখে কার দিকে তাকায় ?
উত্তরঃ
আহ্লাদির দিকে।
23
আহ্লাদির ফেকাসে মুখে রহমান কার মুখের ছাপ দেখতে পায় ?
উত্তরঃ
রহমান তার মৃত মেয়ের মুখের ছাপ দেখতে পায়।
24."সোয়ামি নিতে চাইলে বউকে আটকে রাখার আইন নেই।” কথাটি কার ?
উত্তরঃ
কথাটি কৈলাসের।
25
আহ্লাদি কাদের সেবা-যত্নে সেবার বেঁচে গিয়েছিল ?
উত্তরঃ
মাসি-পিসির।
26
কোথায় তরিতরকারি আর ফলমূলের দাম খুব চড়া ?
উত্তরঃ
শহরের বাজারে।
27
"দুজনের হয়ে গেল একমন একপ্রাণ”-এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ
মাসি-পিসির।
28
আহ্লাদির ভার কাদের ঘাড়ে পড়ল ?
উত্তরঃ
মাসি-পিসির ।
29
কাকে শশুর ঘরের কবল থেকে বাঁচাতে হবে ?
উত্তরঃ
আহ্লাদিকে ।
30
“ভাঁওতা দিয়ে আমাদের দমাবার ফিকির সব"- কথাটি কে কাকে বলে ?
উত্তরঃ
কথাটি মাসি আহ্লাদিকে বলে।
31
আহ্লাদির নিজেকে কেমন লাগে ?
উত্তরঃ
আহ্লাদির নিজেকে ছ্যাঁচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে।
32
কে মাসি-পিসিকে পাগল করে তুলেছে ?
উত্তরঃ
গোকুল ।
33
বাজারের তোলা নিয়ে মাসি-পিসির কার সঙ্গে ঝগড়া হয় ?
উত্তরঃ
সরকারবাবুর সঙ্গে।
34
পাতার ফাঁকে কার মাথায় জ্যোৎস্না পড়েছে ?
উত্তরঃ
বৈদ্যের বাবরি চুলওয়ালা মাথায়।
35
সকলের নাম ধরে গলা ফাটিয়ে কারা হাঁক দেয় ?
উত্তরঃ
মাসি-পিসি ।
36
কারা যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে ?
উত্তরঃ
মাসি-পিসি ।
37
'বুড়ো রহমান ছলছল চোখে তাকায় আহ্লাদির দিকে।'- কেন ? বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ
আহ্লাদিকে দেখে বুড়ো রহমানের অল্পদিন আগে মরে যাওয়া মেয়ের কথা মনে হয়।তাই বুড়ো রহমান ছলছল চোখে তাকায় আহ্লাদির দিকে
38
'বুড়ো রহমান ছলছল চোখে তাকায় আহ্লাদির দিকে।'- কেন ? বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ
আহ্লাদিকে দেখে বুড়ো রহমানের অল্পদিন আগে মরে যাওয়া মেয়ের কথা মনে হয়।তাই বুড়ো রহমান ছলছল চোখে তাকায় আহ্লাদির দিকে। বুড়ো রহমানের মেয়ে আহ্লাদির চেয়ে বয়সে ছোট এবং রোগাটে। অবুঝ ছোট সেই মেয়েটি শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের ভয়ে সেখানে যেতে চাইত না; কান্নাকাটি করত। তবু মেয়ের ভালোর কথা ভেবে বুড়ো রহমান তাকে জোর করে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিলে মেয়েটি সেখানে মারা যায়। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আহ্লাদিও শ্বশুরবাড়ি থেকে মাসি-পিসির কাছে চলে আসে। তাই আহ্লাদিকে দেখে বুড়ো রহমানের নিজের মেয়ের কথা মনে পড়ে এবং সে ছলছল চোখে আহ্লাদির দিকে তাকায়।
39
"ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয়," এখানে 'পাষাণ' কথাটি দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে ?
উত্তরঃ
“ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয়”- এখানে 'পাষাণ' কথাটি দ্বারা কঠিন হৃদয়ের মানুষকে বোঝানো হয়েছে। 'মাসি-পিসি' গল্পের আহ্লাদি গর্ভবতী। তার স্বামী জগু খুব নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ। সে আহ্লাদিকে নানা রকম শারীরিক নির্যাতন করে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আহ্লাদি মাসি-পিসির কাছে বাবার বাড়ি চলে আসে। তখন পিসি আহ্লাদিকে বুঝায় যখন তার সন্তান হবে তখন তার স্বামী আর তার ওপর নির্যাতন করবে না। কারণ সাধারণত সন্তানের মুখ দেখলে কঠিন হৃদয়ের মানুষও নরম হয়ে যায়। এখানে 'পাষাণ' কথাটি দ্বারা কঠিন হৃদয়ের মানুষকে বোঝানো হয়েছে।
40
‘যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে মাসি-পিসি'- ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ
'যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে মাসি-পিসি'- কথাটি দ্বারা আহ্লাদিকে রক্ষার জন্য মাসি-পিসির তৎপরতাকে বোঝানো হয়েছে। 'মাসি-পিসি' গল্পে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে আহ্লাদি আশ্রয় নেয় মাসি-পিসির কাছে। লালসা উন্মত্ত জোতদার ও দারোগার কুনজর পড়ে আহ্লাদির ওপর। তাই তো তারা গুন্ডা-বদমাশদের পাঠিয়ে মাসি-পিসির কাছ থেকে আহ্লাদিকে ছিনিয়ে নিতে চায়। মাসি-পিসি তাদের প্রতিরোধ করে। পুনরায় আক্রমণের ভয়ে কাঁথা-কম্বল চুবিয়ে রাখে এবং হাঁড়ি-কলসিতে জল ভরে রাখে। বঁটি আর দা রাখে হাতের কাছেই। যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে মাসি-পিসি।যাতে তারা আবার আসলে তাদের সহজে প্রতিরোধ করতে পারে।
41
“নিজেকে তার ছ্যাঁচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে।”- কার, কেন ?
উত্তরঃ
'নিজেকে তার ছ্যাচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো লাগে'- কথাটি আহ্লাদি তার নিজের অবস্থা সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছে। স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে আহ্লাদি তার মাসি-পিসির কাছে আশ্রয় নেয়।কিন্তু মাসি পিসির বাড়িতে আসলেও সে পথ খারাপ লোকজন থেকে রেহাই পায় না। বদ লোকজনের কুনজর তার ওপর পড়ে । তরিতরকারি কিনতে আসা মানুষজন তাকে পণ্যের সমতুল্য মনে করে। গাঁয়ের কিছু লোকের এমন মনোভাব বুঝতে পেরে আহ্লাদির মন খারাপ হয়। তার মনে হয় তার কোনো সম্মান নেই, ইচ্ছা-অনিচ্ছা নেই, কোনো স্বতন্ত্র সত্তা নেই। তাই নিজেকে তার ছ্যাঁচড়া, নোংরা, নর্দমার মতো মনে হয়।
42
মাসি-পিসি কেন কানাই চৌকিদারের সাথে গেল না ?
উত্তরঃ
তাদের অনুপস্থিতির সুযোগে আহ্লাদিকে তুলে নিয়ে যেতে পারে ভেবে মাসি-পিসি কানাই চৌকিদারের সঙ্গে গেল না। হঠাৎ এক রাতে কানাইয়ের সঙ্গে গোকুলের তিনজন পেয়াদা এসে মাসি-পিসিকে কাছারিবাড়ি যেতে বলে। মাসি জানতে চায় তাদের দুজনের মধ্যে একজন গেলে হবে কিনা। কিন্তু কানাই তাতে অসম্মতি জানায় এবং বলে দুজনকেই যেতে হবে। মাসি-পিসি জানে তারা দুজনে কাছারিবাড়ি গেলে সাধু বৈদ্য ওসমানেরা এসে রাতের আঁধারে আহ্লাদিকে তুলে নিয়ে যাবে। আর সেজন্যই মাসি-পিসি কানাই চৌকিদারের সঙ্গে গেল না।
43
'সেই এখানকার কর্তা, সেই সর্বেসর্বা'- উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ
"সেই এখানকার কর্তা, সেই সর্বেসর্বা।" কথাটির দ্বারা লেখক পুরুষশাসিত সমাজে পুরুষের প্রাধান্য তুলে ধরেছেন। মাসি-পিসি রান্নাঘরে আহ্লাদির ভবিষ্যতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে। এরই এক পর্যায়ে তারা জামাই জগুর সম্পর্কে কথা তোলে। জামাই যদি আসে, তারা জামাইকে যথাযথ খ্যাতির-যত্ন করবে, এমনকি মেয়েকে শিখিয়ে দেবে যে, স্বামী এসেছে বলে সে যেন আহ্লাদে গদগদ হওয়ার ভাব দেখায়। যে কদিন জামাই থাকে সে যেন অনুভব করে সে-ই এখানকার কর্তা, সে-ই সর্বেসর্বা। সে আহ্লাদির সঙ্গে অতীতে কী করেছে বা ভবিষ্যতে কী করবে সেটা বড় কথা নয়। এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে, পুরুষ হলো সমাজের মাথা। তারা যত অন্যায় করুক না কেন, তাদের মর্যাদা সর্বদা উপরে।
44
বাকি রাতটুকু মাসি-পিসি কীভাবে সতর্কতা অবলম্বন করে ?
ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ
বাকি রাতটুকু মাসি-পিসি আহ্লাদিকে না জাগিয়েই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করে। গ্রামের খারাপ লোকেরা রাতে মাসি-পিসিদের আক্রমণ করতে পারে বা ঘরে আগুন দিতে পারে সেজন্য মাসি সজাগ থাকার কথা বলে। পিসি কাঁথা-কম্বল ভিজিয়ে রাখে যাতে আগুন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। হাঁড়ি-কলসে আরও জল এনে রাখে। বঁটি আর রামদা হাতের কাছেই রাখে। এভাবে তারা যেকোনো বিপদ প্রতিহত করার সাহস আর মনোবল নিয়ে প্রস্তুত থাকে ।
45
“পেটে শুকিয়ে লাথি ঝাঁটা খেতে ? ” বলতে কী বোঝায় ?
উত্তরঃ
উক্তিটির মাধ্যমে আহ্লাদির ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারের বিষয়টিকে বোঝানো হয়েছে। আহ্লাদির স্বামীর বাড়ির মানুষগুলো মানুষরূপী পশু। তারা আহ্লাদির ওপর পাশবিক অত্যাচার চালাত। সেখানে সে ঠিকমতো খেতে পায় না উপরন্তু লাথি-ঝাঁটার বাড়ি তো আছেই। কখনো কখনো স্বামীর কলকে পোড়ার ছ্যাঁকাও খেতে হয় তাকে ।কিন্তু আবার কিছুদিন পরে যখন তাকে আবার তার শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কথা বলা হয় তখন মাসি পিসি এর প্রতিবাদ জানাই এবং জানিয়ে দেয় এত অত্যাচার সহ্য করে আর আহ্লাদি সেখানে যাবে না । প্রশ্নোক্ত উক্তিতে এ বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে।
46
“হাতে দুটো পয়সা এলে তোমারও স্বভাব বিগড়ে যায় কৈলেশ”- ব্যাখ্যা কর ।
উত্তরঃ
"হাতে দুটো পয়সা এলে তোমারও স্বভাব বিগড়ে যায় কৈলেশ”- উক্তিটি দ্বারা পিসি কৈলাশের চারিত্রিক অধঃপতনের ইঙ্গিত করেছে। 'মাসি-পিসি' গল্পের আহ্লাদি অভাগী এক নারী চরিত্র। জগুর সঙ্গে তার বিয়ে হলেও শ্বশুর বাড়ির লোকদের অত্যাচারে স্বামীর ঘর করা তার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই স্বামীর অত্যাচার থেকে বাঁচতে স্বামীর ঘর ছেড়ে আহ্লাদি চলে আসে মাসি-পিসির কাছে। কাজেই কৈলাশ যখন পুনরায় আহ্লাদিকে জগুর কাছে পাঠানোর জন্য সুপারিশ করে, তখন তার প্রতি রাগান্বিত হয়ে পিসি জগুর সঙ্গে তুলনা করে কৈলাশকে এ কটূক্তি করে ।
47
“বজ্জাত হোক, খুনে হোক, জামাই তো।”- ব্যাখ্যা কর ?
উত্তরঃ
বাঙালি সমাজে জামাই যেমনই হোক না কেন, জামাইকে আদর করতে কমতি রাখে না- প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মধ্য দিয়ে এ কথাই প্রকাশিত হয়েছে। আহ্লাদির স্বামী সবসময় আহ্লাদিকে নির্যাতন করত। তাই স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সে মাসি পিসির কাছে চলে আসে। কিন্তু এত কিছুর পরও যখন জগু শ্বশুরবাড়ি আসে তখন মাসি-পিসি জামাইয়ের আদরে কমতি রাখে না। তারা ছাগল বিক্রি করে জামাইকে ভালো-মন্দ খাইয়ে আদর-যত্ন করে। তাই কৈলাশ যখন মাসি-পিসিকে আহ্লাদিকে আবার তার স্বামীর সংসারে ফেরত পাঠাতে বলে তখন মাসি- পিসি বলে, মেয়ে না পাঠালেও জামাই এলে তার আদর-যত্নের কমতি হবে না।
48
মাসি-পিসি কানাইকে কীভাবে প্রতিহত করেছিল ?
উত্তরঃ
বঁটি ও কাটারি হাতে নিয়ে এবং প্রতিবেশীদের ডেকে এনে মাসি-পিসি কানাইকে প্রতিহত করেছিল। রাতের বেলায় তাদের কাছারিতে নিয়ে যাওয়াটা মাসি-পিসির কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। তাছাড়া তারা ঝোপের আড়ালে লুকানো সাধু বৈদ্য- ওসমানদের দেখে ফেলে। তাই তারা ঘরে গিয়ে বঁটি আর কাটারি নিয়ে বেরিয়ে আসে। তারপর প্রতিবেশীদের জোরে জোরে ডাকতে থাকে। প্রতিবেশীরা ছুটে এলে কানাই দলবলসহ পালিয়ে যায়। মূলত অদম্য সাহস আর আহ্লাদির প্রতি মমত্ববোধই মাসি-পিসিকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে কানাইকে প্রতিহত করতে।
49
‘মাসি-পিসি’ গল্পে উল্লিখিত বাবুর নাম কী ?
উত্তরঃ
'মাসি-পিসি' গল্পে উল্লিখিত বাবুর নাম গোকুল ।
50
“মোরা নয় মরব।”-পিসির এ উক্তি কিসের ইঙ্গিত বহনকারী ? বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ
প্রশ্নোক্ত উক্তিটির মাধ্যমে বদমায়েশ কানাই ও তার দলের বিরুদ্ধে | পিসির প্রতিবাদী চেতনা ও দৃঢ় মনোভাবের পরিচয় প্রকাশ পায় ।
'মাসি-পিসি' গল্পে মাসি ও পিসি দুজনেই বিধবা। তাঁরা আহ্লাদিকে আগলে রেখেছেন সকল লম্পটের কুদৃষ্টি থেকে। রাতের বেলা ষড়যন্ত্র করে কানাই ও তার দল মাসি ও পিসিকে কাছারিতে নিয়ে যেতে চাইলে | মাসি ও পিসি তার কুমতলব বুঝতে পারেন। কৌশলে কানাই ও তার দল আহ্লাদির কোনো ক্ষতি করতে পারে তা মাসি ও পিসি দুজনেই টের পান। তাই তাঁরাও প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কানাই ও তার দলের বিরুদ্ধে। মাসি ও পিসি রাতের বেলা কাছারিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তা বোঝা যায় পিসির প্রশ্নোক্ত উক্তিতে ।
51
হাতে দুটো পয়সা এলে কার স্বভাব বদলে যায় ?
উত্তরঃ
হাতে দুটো পয়সা এলে কৈলাশের স্বভাব বদলে যায় ।
52
আহ্লাদির দিকে তাকিয়ে বৃদ্ধ রহমানের চোখে জল আসে কেন ?
বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ
আহ্লাদিকে দেখে তার নিজের মেয়ের কথা মনে হওয়ায় বুড়ো রহমানের চোখে জল আসে ।
আহ্লাদির চেয়ে বয়সে ছোটো মেয়েটাকে রহমান বিয়ে দিয়েছিল। অবুঝ মেয়েটা শ্বশুরবাড়ি না যাওয়ার জন্য খুব কেঁদেছিল। কিন্তু তার ভালোর জন্যই তাকে জোর করে শ্বশুরবাড়ি পাঠায় রহমান। সেখানে গিয়ে অল্পদিন পরেই মেয়েটা মারা যায়। একই সমস্যার শিকার আহ্লাদিকে দেখে মেয়ের কথা মনে হওয়ায় বুড়ো রহমানের চোখ ছলছল করে।
53
মাসি-পিসিকে কে পাগল করে তুলেছে ?
উত্তরঃ
মাসি-পিসিকে পাগল করে তুলেছে গোকুল।
54
জগর বৌ নেওয়ার আগ্রহ কেন ?
উত্তরঃ
আহ্লাদির বাপের জমিজমার লোভে জগু বউ নিয়ে যাওয়ার জন্য এত আগ্রহ দেখায় ৷
কলেরায় আহ্লাদির বাবা-মা ও ভাই মারা যায়। এতে বাপের ঘর-বাড়ি ও জমিজমার মালিক হয় আহ্লাদি। আহ্লাদিকে নিলে জগু তার জমিজমার মালিক হতে পারবে। আর এ লোভেই সে আহ্লাদিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবার ব্যাপারে খুব আগ্রহী।
55
মাসি-পিসি বাজারের তোলা নিয়ে কার সাথে ঝগড়া করে ?
উত্তরঃ
মাসি-পিসি বাজারের তোলা নিয়ে সরকার বাবুর সাথে বাগড়া করে।
56
'যুদ্ধের আয়োজন করে তৈরি হয়ে থাকে মাসি-পিসি।'- ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ
প্রশ্নোক্ত উক্তিটিতে সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মাসি-পিসির নানারকম প্রস্তুতির দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
'মাসি-পিসি' গল্পে রাতের বেলা দুশ্চরিত্র ও লোভী প্রতিবেশী গোকুল আহ্লাদিকে তুলে নিতে কয়েক জন গুন্ডা-বদমাশকে পাঠায়। কিন্তু মাসি- পিসি দা-বঁটি হাতে তুলে নিয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় গুন্ডা- বদমাশদের তাড়িয়ে দেয়। কিন্তু তবুও এ কুচক্রীরা রাতে আবার আক্রমণ চালাতে পারে— এ আশঙ্কায় মাসি-পিসি নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখে। এ বিষয়টি বোঝাতে গল্পকার আলোচ্য উক্তিটি করেন।
57
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম কি ?
উত্তরঃ
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃপ্রদত্ত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
58
"বুড়ো রহমান ছলছল চোখে তাকায় আহ্লাদির দিকে।” ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ
আহ্লাদিকে দেখে তার নিজের মেয়ের কথা মনে হওয়ায় বুড়ো রহমান ছলছল চোখে তাকায় তার দিকে।
আহ্লাদির চেয়ে বয়সে ছোট মেয়েটাকে রহমান বিয়ে দিয়েছিল। অবুঝ মেয়েটা শ্বশুরবাড়ি না যাওয়ার জন্য খুব কেঁদেছিল । কিন্তু তার ভালোর জন্যই তাকে জোর-জবরদস্তি করে শ্বশুরবাড়ি পাঠায় রহমান। সেখানে গিয়ে অল্পদিন পরেই মেয়েটা মারা যায়। একই সমস্যার শিকার আহ্লাদিকে দেখে মেয়ের কথা মনে হওয়ায় বুড়ো রহমানের চোখ ছলছল করে ওঠে।
59
ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয়'—উক্তিটি কার ?
উত্তরঃ
"ছেলের মুখ দেখে পাষাণ নরম হয়" - উক্তিটি পিসির।
60
আহ্লাদিকে দেখে বুড়ো রহমানের চোখ ছল ছল করে উঠে কেন ?
উত্তরঃ
আহ্লাদির দিকে তাকিয়ে নিজের মেয়ের কথা মনে করে বৃদ্ধ রহমানের চোখ ছল ছল করে উঠে।
বৃদ্ধ রহমানের মেয়ে কিছুদিন আগে শ্বশুর-বাড়িতে মারা গেছে। মেয়েটি কিছুতেই শ্বশুরবাড়ি যেতে চায়নি, অনেক কেঁদেছে। তবু তার ভালোর কথা চিন্তা করে জোর করে তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। যদিও আহ্লাদির সাথে তার মেয়ের চেহারায় কোনো মিল নেই। বয়সেও সে ছিল আহ্লাদির থেকে ছোটো। তবুও আহ্লাদির ফ্যাকাসে চেহারায় সে তার নিজের মেয়ের ছাপ দেখতে পায়।
Post a Comment