প্রশ্ন ও উত্তর পেজ

অপরিচিতা

01. অনুপম ও তার মামার বয়সের ব্যবধান?
উত্তরঃ ছয় বছর।
02. অনুপমের মামা ও তার মা কেন বিস্তার হাসিলেন?
উত্তরঃ গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে প্রচুর লোকের সমাগম হয়'। এত লোককে বিদায় করতে যে কোন পক্ষকে যে বেগ পেতে হবে তার চিন্তা করেই অনুপমের মামা ও তার মা বিস্তার হাসলেন।
03. অনুপম ও তার মামার বয়সের ব্যবধান কতো?
উত্তরঃ ছয় বছর।
04. অনুপম কে মাকাল ফলের সাথে তুলনা করতেন কে?
উত্তরঃ পণ্ডিত মশায়।
05. অনুপমের বাবা পেশায় কি ছিলেন?
উত্তরঃ অনুপমের 'বাবার পেশা ছিল ওকলাতি বা আইন ব্যবসায়।
06. 'অপরিচিতা' গল্পটি প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ ১৩২১ বঙ্গাব্দে (১৯১৪) প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত 'সবুজপত্র' পত্রিকার কার্তিক সংখ্যায়।
07. অনুপমের পিসতুতো ভাইয়ের নাম কী?
উত্তরঃ বিনু।
০৪. মাকাল ফল বলে বিদ্রুপ করা হয়েছে কাকে?
উত্তরঃ অনুপমকে।
09. কল্যাণীতে আশীর্বাদের সময় কি দেয়া হয়েছিল?
উত্তরঃ এয়ারিং।
10. 'কন্সার্ট' শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ নানা রকম বাদ্যযন্ত্রের ঐকতান।
11. কল্যাণীতে আশীর্বাদ করার জন্য কাকে পাঠানো হয়েছিল?
উত্তরঃ বিনুদাদাকে।
12. বিবাহ ভাঙার পর হতে কল্যাণী কোন ব্রত গ্রহণ করেছে?
উত্তরঃ মেয়েদের শিক্ষা দিয়ে দেশসেবার।
13. 'অপরিচিতা' গল্পে গজাননের ছোট ভাই কাকে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ অনুপমকে।
14. 'অপরিচিতা' গল্পটি প্রকাশিত হয় কত সালে?
উত্তরঃ ১৯১৪ সালে।
15. শম্ভুনাথ সেন এর স্বভাব কেমন ছিল?
উত্তরঃ শম্ভুনাথ সেন পরোপকারী, সত্যবাদী, ঋষিতুল্য মানুষ।
16. 'অভ্র' কী?
উত্তরঃ এক ধরনের খনিজ ধাতু।
17. কে কুলি ডাকতে লাগলো?
উত্তরঃ অনুপম।
18. বাঙালি মেয়ের কোন কথা মধুর হয়?
উত্তরঃ বাংলা কথা।
19. কল্যাণীর সাথে কয়টি ছোট মেয়ে ছিল?
উত্তরঃ দু-তিনটি ছোট ছোট মেয়ে ছিল।
20. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কত বছর বয়সে 'বনফুল' প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ মাত্র পনেরো বছর বয়সে।
21. এশিয়াদের মধ্যে প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন কে?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে।
22. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তরঃ ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮)।
23. অনুপমকে শিমুল ফুল ও মাকাল ফলের সঙ্গে তুলনা করার কারণ কি?
উত্তরঃ একান্তই নির্বোধ ও গুণহীনতার কারণে।
24. 'স্বয়ংবরা' শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ যে মেয়ে নিজেই স্বামী নির্বাচন করে।
25. হরিশ অনুপমের সম্পর্ক কি?
উত্তরঃ অনুপমের বন্ধুর নাম হরিশ।
26. অনুপমের বন্ধু হরিশ কোথায় কাজ করে?
উত্তরঃ অনুপমের বন্ধু হরিশ কানপুরে কাজ করে।
27. "এইটে একবার পরখ করিয়া দেখো।" ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ শম্ভুনাথ সেন আলোচ্য উক্তির মধ্য দিয়ে একজোড়া এয়ারিং সেকরার হাতে দিয়ে তা খাঁটি সোনার কি না পরখ করে দেখতে বলেছেন। 'অপরিচিতা' গল্পের অনুপমের সঙ্গে শম্ভুনাথ সেনের কন্যা কল্যাণীর বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু অনুপমের মামার চরম যৌতুকলোভী মানসিকতার প্রকাশ ঘটে বিয়ের আসরে। যৌতুকের গহনা কল্যাণীর শরীর থেকে খুলে পরীক্ষা করান অনুপমের মামা। তখন শম্ভুনাথ সেন এক জোড়া এয়ারিং এগিয়ে দেন সেকরার হাতে তা পরখ করে দেখার জন্য। কেননা সেটা ছিল অনুপমের মামার দেওয়া বিলাতি জিনিস, যাতে সোনার ভাগ আছে সামান্যই।
28. কল্যাণী কোন স্টেশনে নেমেছিল?
উত্তরঃ কল্যাণী কানপুর স্টশনে নেমেছিল।
29. 'বাহিরে তো সে ধরা দিলই না, তাহাকে মনেও আনিতে পারিলাম না।'-ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কারণে অনুপম কল্যাণীকে কখনো না দেখতে পাওয়ার কারণে নিজের কল্পনাতেও কল্যাণীর না থাকার প্রসঙ্গে প্রশ্নোত্তর কথাটি বলেছেঅপরিচিতা গল্পে মামার যৌতুকলোভী মানসিকতার কারণে বিয়ের আসর থেকে বিয়ে না করেই অনুপমকে ফিরে আসতে হয়েছে। ফলে অনুপম এর কাছে কল্যাণী অচেনা থেকে যায়। এমনকি কল্যাণীকে কখনো না দেখায় তার অবয়ব অনুপমের অচেনাই থেকে যায়। বিনুদার বর্ণনা শুনে পছন্দ করে অনুপম কখনো কল্যাণীকে দেখেনি। কল্যাণীর কোন ছবি অনুপম দেখেনি। ফলে কল্যাণীর দেখতে কেমন সে কল্পনাও করতে পারে না অনুপম। আর এ প্রসঙ্গেই প্রশ্নোত্তর কথাটি বলা হয়েছে।
30. 'রসনটৌকি' শব্দের অর্থ কী
উত্তরঃ 'রসন চৌকি' শব্দের অর্থ শানাই, ঢোল ও কাঁসি এই তিনটি বাদ্যযন্ত্রের সৃষ্ট ঐকতানবাদন।
31. 'মামা বিবাহ-বাড়িতে ঢুকিয়া খুশি হইলেন না।'-কেন?
উত্তরঃ বিয়েবাড়ির উঠানে বরযাত্রীদের জায়গা সংকুলান না হওয়ায় এবং সমস্ত আয়োজন নিতান্ত মধ্যম রকমের হওয়ায় মামা সেখানে ঢুকে খুশি হলেন না। শম্ভুনাথ সেনের এককালে প্রচুর ধন-সম্পদ থাকলেও বর্তমানে তেমন কিছুই নেই। তাই শম্ভুনাথ সেনের আয়োজনে তেমন বাড়াবাড়ি ছিল না। আর বিয়েবাড়ির উঠানে বরযাত্রীদের জায়গারও সংকুলান হচ্ছিল না। এসব কারণে মামা বিয়েবাড়িতে ঢুকে খুশি হলেন না।
32. 'অপরিচিতা' গল্পের খাদযুক্ত গহনাটির নাম কী?
উত্তরঃ 'অপরিচিতা' গল্পের খাদযুক্ত গহনাটির নাম এয়ারিং।
33. "ফল্গুর বালির মতো তিনি আমাদের সমস্ত সংসারটা নিজের অন্তরের মধ্যেশুষিয়া লাইয়াছেন।"-উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ অনুপমদের পরিবারে ব্যাপক প্রভাব বিস্তারের কারণে অনুপমের মামাকে উদ্দেশ করে কথাটি বলা হয়েছে। 'অপরিচিতা' গল্পে অনুপমের আসল অভিভাবক তার মামা। অনুপমের জীবনের সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণে এই মামার ভূমিকাই প্রধান। তিনি অনুপমের চেয়ে মাত্র ছয় বছরের বড়ো। অথচ সংসারে তাঁর মতামত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ফন্তু একটি নদীর নাম। যার ওপরের অংশে বালির আস্তরণ কিন্তু ভেতরে জলস্রোত প্রবাহিত। অনুপমের মামার সর্বেসর্বা। হয়ে সমস্ত দায়দায়িত্ব পালনের বিষয়টিকে এ নদীর সাথে তুলনা করা হয়েছে। অনুপমের মামা যেন ফন্তু নদীর বালির মতো তাদের সংসারটাকে নিজের অন্তরের মধ্যে শুষে নিয়েছেন'। আর এ বিষয়টি বোঝাতেই প্রশ্নোক্ত কথাটি বলা হয়েছে।
34. বিবাহ ভাঙার পর হতে কল্যাণী কোন ব্রত গ্রহণ করে?
উত্তরঃ বিবাহ ভাঙার পর হতে কল্যাণী মেয়েদের শিক্ষার ব্রত গ্রহণ করে।
35. "এটা আপনাদের জিনিস, আপনাদের কাছেই থাক।"- এরূপ মন্তব্যের কারণ কী?
উত্তরঃ বরপক্ষের হীন মানসিকতার কারণে কৌশলী এবং অপমানসূচক প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেছিলেন কল্যাণীর বাবা শম্ভুনাথ সেন। বিয়ের আসরে কন্যা সম্প্রদানের কাজ স্থগিত রেখে বরের মামা সেকরা দিয়ে কন্যার বাবার দেওয়া গহনা যাচাই করার মতো হীন কাজ করেন। সেকরা দ্বিধাহীনভাবে জানায় কনের সমস্ত গহনাই খাঁটি। শুধু একজোড়া এয়ারিং খাদপূর্ণ এবং বিলাতি। সেটি আশীর্বাদের সময় বরের মামা কন্যাকে দিয়েছিলেন। এ কারণে কৌশলে বরপক্ষকে অপমান করতে কনের বাবা সেটি বরের মামাকে ফেরত দেন এবং প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি করেন।
36. বিনুদাদা অনুপমের কেমন ভাই?
উত্তরঃ পিসতুতো ভাই।
37. "মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই তাঁহার কান্তে গুরুতর।" ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:বিয়েতে কল্যাণীর যোগ্যতার চেয়ে তার পিতা শম্ভুনাথ কী পরিমাণ পণ দিতে সক্ষম অনুপমের মামার ভান্তে সেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। হরিশ অনুপমের মামার কান্তে অনুপমের জন্য পাত্রীর সন্ধান দেয়। পাত্রীর কথা জানার চেয়ে মামার কান্তে পাত্রীর বাবার বিষয়-সম্পত্তির ব্যাপারে জানার বেশি আগ্রহ দেখা যায়। অর্থাৎ উক্তিটিতে অনুপমের মামার যৌতুকলিম্পার দিকটি উন্মোচিত হয়েপ্তে।
38. মামার একমাত্র লক্ষা কী ছিল?
মামার একমাত্র লক্ষ্য ছিল, তিনি কোনোমতেই কারও কাছে ঠকবেন 'না।
39. "ঠাট্টা তো আপনিই করিয়া সারিয়াছেন' উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: প্রশ্নোক্ত উক্তিটি পম্ভুনাথ সেন অনুপমের মামাকে উদ্দেশ করে বলেছিল। মামা কনের গহনা যাচাই করে দেখতে চাওয়ায় শম্ভুনাথ সেন খুব কষ্ট পান এবং তাঁর আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। আর অনুপম এ ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন মেয়েকে এ বাড়িতে বিয়ে দেবেন না। তাই তিনি মামাকে গহনা যাচাই করে দেখান, বিয়েতে আমন্ত্রিতদের খাবার খাওয়ান তারপর বলেন যে, সম্পর্কটা স্থায়ী করার ইচ্ছা তাঁর চাই। এ কথা শুনে অনুপমের মায়া ভাবেন গম্ভুনাথ ঠাট্টা করছেন। কিন্তু শম্ভুনাথ নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে বলেন, ঠাট্টা তিনি নয়, অনুপমের মামা করেছেন। কারণ, মেয়ের গহনা বাবা চুরি করতে পারে এই ধরনের হীন চিন্তাকেই ঠাট্টাই বলা যায়, তার বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে নয়।
40. কল্যাণীর পিতার নাম কী?
কল্যাণীর পিতার নাম শম্ভুনাথ সেন।
41. "ঠাট্টা তো আপনিই করিয়া সারিয়াছেন।" -ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:প্রমোক্ত উক্তিটি গম্ভুনাথ সেন অনুপমের মামাকে উদ্দেশ করে বলেছিল। মামা কনের গহনা যাচাই করে দেখতে চাওয়ায় গম্ভুনাথ সেন খুব কষ্ট পান এবং তাঁর আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। আর অনুপম এ ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকায় তিনি সিদ্ধান্ত নেন মেয়েকে এ বাড়িতে বিয়ে দেবেন না। তাই তিনি মামাকে গহনা যাচা করে সেখান, বিয়েতে আমন্ত্রিতদের খাবার খাওয়ান তারপর বলেন যে, সম্পর্কটা স্থায়ী করার ইচ্ছা তাঁর নেই। এ কথা শুনে অনুপমের মামা ভাবেন গম্ভুনাথ ঠাট্টা করচ্ছেন। কিন্তু গম্ভুনাথ নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকে বলन, অনুপমের মামা করেপ্তেন। কারণ, মেয়ের গহনা বাবা চুরি করতে পারে এই ধরনের হীন চিন্তাকেই ঠাট্টাই বলা যায়, তার বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে নয়।
42. 'বরের হাট কেমন?
উত্তর:বরের হাট মহার্ঘ
43. মামার মন ভার হলো কেন?
উত্তর:কনের বয়স পনেরো শুনে মামার মন ভার হয়েছিল। 'অপরিচিতা' গল্পে বিয়ের পাত্রী তথা কল্যাণীর পারিবারিক অবস্থা, বংশমর্যাদার ব্যাপারে অনুপমের মামাকে বিপদ বর্ণনা দেয় হরিণ। সেসব কথা শুনে তিনি আরান্ত হলেও কল্যাণীর বয়স বেশি মনে করে বিয়ে নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হন। কেননা সেসময় মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়ার রীতি ছিল। পনেরো বস্তরের মেয়েকে সেসময় বেশি বয়সি হিসেবে গণ্য করা হতো। অন্য সকল কিছু ঠিক থাকলেও মেয়ের বয়স শুনে তাই মামার মন ভার হয়েছিল।
44. বিয়ে ভাঙার পর থেকে কল্যাণী কীসের এক গ্রহণ করেছে?
উত্তর:বিয়ে ভাঙার পর কল্যাণী নারী শিক্ষার ব্রত গ্রহণ করছে।
45. অনুপমের মামা বিয়ে বাড়িতে সেকরাকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর:বিয়ে বাড়িতে অনুপমের মামা সেকরা নিয়ে গিয়েছিল মূলত স্বর্ণ আসল কিনা তা যাচাই করার জন্য। অনুপমের সাথে গম্ভুনাথের কন্যা কল্যাণীর বিয়ে ঠিক হয়। বিয়েতে যৌতুক হিসেবে কিছু পরিমাণ স্বর্ণের গহনা ধার্য করা হয়। অনুপমের মামা এই ধার্যকৃত স্বর্ণের গহনা যাচাই করার জন্যই সঙ্গে করে সেকরা নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি আশঙ্কা করছিলেন, শম্ভুনাথ নঞ্চল গহনা দিয়ে তাদেরকে ঠকাতে পারে। এজনাই মূলত অনুপমের মামা বিয়ে বাড়িতে সঙ্গে করে সেকরা নিয়ে গিয়েস্তিলেন।
46. হরিণ কোথায় কাজ করে?
উত্তর:হরিণ কানপুরে কাজ করে।
47. "সেজন্য কিছু জারিকেন না এখন উঠুন।" উক্তিটিতে বজ্রণর মনোভাব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:"সেজন্য কিছু ভাববেন না এখন উঠুন।" উক্তিটি দ্বারা শম্ভুনাথ সেনের বিবাহ প্রত্যাখ্যান করার মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। অপরিচিত গল্পে বিয়ের লগ্ন যখন প্রস্তুত তথা কন্যার লাহাবী হবার লৌকিকতাকে অগ্রাহ্য করে গম্ভুনাথ সেনের নির্বিকার অথচ বলিষ্ঠ প্রআখ্যান নতুন এক সময়ের আশু আবির্ভাবকে সংকেতবহ করে তুলেছে। বিয়ের লগ্নে গম্ভুনাথ সেন তার ও তার মেয়ের আত্মসম্মান সংরক্ষণের জন্য বিয়ে প্রত্যাখ্যানের বউদ্দেশ্যে এই উক্তিটি করেন।
48. অনুপমকে 'মাকাল ফলের সাথে তুলনা করে বিদ্রূপ করেছিল কে?
উত্তরঃ পশ্চিতমগাইরা অনুপমকে মাকাল ফলের সাথে তুলনা করে বিদ্রূপ করেছিল।
49. "একে তো বরের হাট মন্ত্রার্থ, তাছার পরে ধনুক ভাঙা পণ"-এ কথার অর্থ বুঝিয়ে লেখ।
পনেরো বছর বয়সেও কল্যাণীর বিয়ে না হওয়ার কারণ নির্দেশ করা হয়েছে উক্তিটির মাধ্যমে। কল্যাণীর বয়স পনেরো যা তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় বিয়ের যোগ্য কন্যার জন্য অনেকটাই বেশি। মোটা টাকা পণ দিতে হয় বলে সুপার মেলাই তার। তবে এ ব্যাপারে কল্যাণীর বাবা চিহ্নিত নয়। বয়স যতই হোক উপযুক্ত পাত্র খাড়া কন্যার বিয়ে না দিতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তখনকার সমাজে কন্যার পিতার এরূপ মনোভাবের প্রকাশ ঘটতে সাধারণত দেখা যেত না।
50. রবীন্দ্রনাথের সর্বশেষ গল্পের নাম কী?
রবীন্দ্রনাথের সর্বশেষ গল্পের নাম মুসলমানীর গল্প।
51. 'একে তো বরের হাট মহার্য, তায়ার পরে ধনুকভাঙা পণ' ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ পনেরো বছর বয়সেও কল্যাণীর বিয়ে না হওয়ার কারণ নির্দেশ করা হয়েছে উক্তিটির মাধ্যমে। কল্যাণীর বয়স পনেরো যা তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় বিয়ের যোগ্য কন্যার জন্য অনেকটাই বেশি। মোটা টাকা পণ দিতে হয় বলে সুপার সেলাই তার। তবে এ ব্যাপারে কল্যাণীর বাবা চিন্তিত নয়। বয়স যতই হোক উপযুক্ত পাত্র স্বাড়া কন্যার বিয়ে না দিতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তখনকার সমাজে কন্যার পিতার এরূপ মনোভাবের প্রকাশ ঘটতে সাধারণত দেখা যেত না।
52. অপরিচিতা গয়ে রেলগাড়ির পলীয় রঙ ফী ছিল?
উত্তরঃ সবুজ
53. 'শুলিয়া মা এবং আমি দুজনেই চমকিয়া উঠিলাম।' -কেন?
উত্তরঃ শুনিয়া মা এবং আমি দুজনেই চমকিয়া উঠিলাম কারণ গাড়ির মধ্যে যে মেয়েটি বসা ছিল সে হচ্ছে বিবাহের আসর থেকে উঠে আসা মেয়েটি। অনুপম বিয়ের আসর ভাঙ্গার যে মেয়েকে বিয়ে করতে বর সেজে গিয়েছিল সে মেয়েটির নাম ছিল কল্যাণী। গাড়ির মধ্যে দীর্ঘ সময় মেয়েটিকে দেখার পর গাড়ি থেকে নামার সময় যখন মেয়েটিকে নাম জিজ্ঞেস করা হলো। মেয়েটি উত্তর দিয়েছে তার নাম কল্যাণী। নামটি শোনামাত্র তারা দুজনে চমকে উঠেছে।
55. 'এককালে ইয়াদের বংশে লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট করা ছিল।' উক্তিটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তরঃ ইহকালে এককালে ইহাদের বংশে লক্ষ্মীর ঘর করা ছিল উক্তিটি অনুপম কল্যাণীদের সম্পদের কথা ব্যাখ্যা করেছেন কল্যাণীর বাবা গম্ভুনাথ বাবু একজন ডাক্তার তাদের অবস্থা এখন বেলি উন্নত না হলেও একসময় তাদের অবস্থা অনেক ভালো ছিল কল্যাণীদের অবস্থার কথা বোঝাতে অনুপম উক্তিটি করেছেন।
56. 'হল বলরাম' কে?
উত্তরঃ শ্রী কৃষ্ণের বৈসালের জ্যেষ্ঠ যাতা।
57. কবি নিজেকে একই সঙ্গে সৃষ্টি ও ধ্বংসের সাথে তুলনা করেছেন কেন?
কবি নিজেকে একই সঙ্গে সৃষ্টি ও ধ্বংসের সাথে তুলনা করেছেন কারণ বিদ্রোহী কবিতায় আগাজাগরণের উন্মুক্ত কবি আত্মপ্রকাশ বাক্ত করেছেন। কবিতায় সগরে কবি নিজের বিদ্রোহী কবি সত্তার প্রকাণ ঘটিয়ে উপন্যাসিক ভারতবর্ষের পাসকদের পাসন ক্ষমতার ফিতর ঝাপিয়ে কাঁপিয়ে দেন। এ কবিতায় সংযুক্ত রয়েছে উপন্যাসিক পালনের বিরুদ্ধে কবীর লোক ও বিগ্রোয় এজন্য তিনি নিজেকে একই সঙ্গে সৃষ্টি ও বাংসের সাথে তুলনা করেন।
58. 'আঠারো বছর বয়স' কবিতাটি কবির কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তরঃ ছাড়পত্র
59. 'এ বয়সে আসে কত মন্ত্রণা' ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ এ বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা' বলতে কবি বুঝিয়েছেন যে, এই বয়সের তরুণরা ভালো মন্দ, ইতিবাচক নেতিবাচক নানা তত্তা, মতবাদ, ভাবধারার সাথে পরিচিত হতে শুরু করে। আঠারো বছর বয়সটা ভয়ংকর। এ বয়সের প্রাণবন্ত তরুণরা চারপাশের অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। এ বয়সে মানুষ জীবনে অনুভূতির তীব্রতা ও সুগভীর সংবেদনশীলতা অনুভব করে। চারপাশের নানা কিছুর সাথে এই বয়সেই তারা পরিচিত হতে থাকে। সেগুলোর মধ্যে ভালো যেমন আছে তেমনি আছে মন্দও। এ বিষয়টিই কবি আলোচ্য রচনাটিতে প্রকাশ করেছেন।
60. কোন গল্প রচনার মাধ্যমে ছোটগল্প লেখক হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মপ্রকাশ ঘটে?
উত্তরঃ ভিখারিনী।
61. বিরয়াত্রের দল দক্ষয়লের পালা সারিয়া বাহির হইয়া গেল।' ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কারণ মেয়ের জন্য যে সব গহনা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করা হয়েছে, সেগুলোর পরিমাণ ও খাঁটিত্ব প্রমাণের জন্য অনুপমের মামা বাড়াবাড়ি রকম অভদ্রতা করেছে। মামার অভদ্র- আচরণ ও হীন মানসিকতায় অপমানিত বোধ করেছেন শম্ভুনাথ সেন। তাই শিক্ষিত, সচেতন, স্নেহময়ী পিতা শম্ভুনাথ সেন, বিবাহ ভেঙে দেন। এজন্য বরযাত্রী বেরিয়ে যায়।
62. কল্যাণীর বিয়ের গহনাগুলো কোন আমলের?
উত্তরঃ নকল্যাণীর বিয়ের গহনাগুলো তাঁর পিতামহীদের আমলের ছিল।
63. 'ছোটোদের সঙ্গে সে অনায়াসে এবং আনন্দে ছোটো হইয়া গিয়াছিল।'- উক্তিটির তাৎপর্য বর্ণনা করো।
উত্তরঃ অত্যন্ত মিশুক ও সংবেদনশীল কল্যাণী সম্পর্কে প্রশ্নোক্ত কথা বলা হয়েছে। 'অপরিচিতা' গল্পে ছোটোদের সঙ্গে মিষ্টি ভাষায় কথা বলা কল্যাণীর সঙ্গে দু-তিনটি মেয়ে ছিল। তাদের সঙ্গে কল্যাণী অনায়াসে ও আনন্দে ছোটো হয়ে গিয়েছিল। কারণ পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী স্বচ্ছন্দে চলতে গেলে বয়সের তফাৎটাকে ভুলে থাকতে হয়। অন্য মেয়েদের সঙ্গে বয়সের তফাৎটা ধরে রাখলে হাসি-আনন্দটা কিছুতেই করা হতো না। এই মনোভাবটি যে অত্যন্ত ইতিবাচক তা বোঝাতেই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করা হয়েছে।
64. 'অপরিচিতা' গল্পটি রবীন্দ্রগল্পের কোন সংকলনে প্রথম গ্রন্থভুক্ত হয়?
উত্তরঃ 'অপরিচিতা' গল্পটি রবীন্দ্রগল্পের গল্পসপ্তকে প্রথম গ্রন্থভুক্ত।
65. ধনীর কন্যা তার পছন্দ নয়।' কার এবং কেন? ব্যাখ্যা করো!
উত্তরঃ ধনীর কন্যা বউ হয়ে বাড়িতে আসলে তাকে নির্যাতন করা এবং ওই বাড়ির অতিথিদের অবজ্ঞা করা সম্ভব হবে না, তাই অনুপমের মামার ধনীর কন্যা পছন্দ নয়। অনুপমের বিয়ের ক্ষেত্রে মামার একটি বিশেষ মত ছিল যে তিনি বড়ো লোকের মেয়েকে অনুপমের বউ করে ঘরে আনতে চান না। কারণ, তিনি চাইতেন যে মেয়ে তাদের বাড়ির বউ হয়ে আসবে সে যেন মাথা নিচু করে আসে। যাকে ইচ্ছা হলেই শোষণ করা যাবে কিন্তু যার বাড়ি থেকে আত্মীয় এলে যথাযথ সমাদর না করলেও চলবে। এ কারণে তিনি চেয়েছেন টাকা নেই এমন ঘরের মেয়ে অনুপমের বউ হয়ে আসুক।
66. 'অপরিচিতা' গল্পে খাদযুক্ত গহনার নাম কী?
উত্তরঃ 'অপরিচিতা' গল্পে খাদযুক্ত গহনার নাম এয়ারিং।
67. শুনিয়া আমার মন পুলকের আবেশে ভরিয়া গেল' কী প্রসঙ্গে বলা হয়েছে?
উত্তরঃ কল্যাণী বিয়ে না করার পণ করেছে- এ কথা শুনে অনুপমের মন পুলকের আবেশে ভরে যায়। অনুপম ও কল্যাণীর বিয়ে না হলেও অনুপম কল্যাণীকে ভুলতে পারেনি। অনুপম সব সময় প্রত্যাশা করত কল্যাণী তার কাছে ফিরে আসবে। মনে মনে সে কল্যাণীর অন্য কোথাও বিয়ে হওয়ার আশঙ্কায় শঙ্কিত থাকত। কিন্তু যখন শুনতে পেল, কল্যাণী বিয়ে করবে না বলে পণ করেছে তখন তার মন পুলকের আবেশে ভরে যায়।
68. হরিশ কোথায় কাজ করে?
উত্তরঃ হরিশ কানপুরে কাজ করে।
69. মন্দ নয় হে খাঁটি সোনা বটে।' ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কল্যাণীর প্রশংসাস্বরূপ প্রশ্নোক্ত মন্তবাটি করা হয়েছে। অনুপমের বিবাহের জন্য কন্যাকে আশীর্বাদ করতে তার পিসতুতো ভাই বিনুকে পাঠানো হয়েছিল। সে ফিরে এসে কন্যার প্রশংসা করে প্রমোপ্ত উক্তিটি করে। কিন্তু খুবই কটিগীল মানুষ, সে অল্প কথায় অনেক অর্থ প্রকাশ করে। তার কচির উপর অনুপম খোলো আনা নির্ভর করতে পারে। সে যখন বলে খাঁটি সোনা, তখন অনুপমের বুঝতে বাকি থাকে না যে তার জন্য যে পাত্রী পছন্দ করা হয়েছে, সে অনলায় গুণসম্পন্ন নারী।
71. 'আমার জন্যে প্রদাপতির সঙ্গে গরপারের ফোনো বিরোধ শেই। বলতে যা বোঝানো হয়েছে?।
উত্তরঃ আমার আগে প্রজাপতির সঙ্গে পঞ্চাশয়ের যোশ্যে বিরোধ নেই বাষ্যাটিতে অনুপমের আগ্যের পূৎসমতার যথা বোঝানো হয়েছে। অনুপমের বিবাহের মধ্যে বালাকে আপীহীদ যরতে আয় দিলছুতো আই বিশুফে পড়াশো হলো। সে ফিরে এসে কথ্যার প্রশংসা হয়ে। বিশু বুধই প্রটিশীল মানুষ, সে আয় যাথায় অশেষ্য অর্থ প্রতাপ বারে। তার প্রতিটি কথা অত্যন্ত আর্ট। সে যখন খালে ব্যাট লোশা, অথষ অনুপমের বুঝতে বাকি গায্যে না যে আর জন্যে যে পাত্রী পছন্দ যারা হয়েছে সে অনন্যা গোসল্পদ্মা নারী। বিদুদার উপর ভরসা করেই অনুপম মায় আজন্যে বিবাহের দেখতা প্রজাপতি ও প্রেমের দেবতা বদনের আয় বৃটি কল্পনা করেছেন।
72. অনুপমকে 'মাকাল ফল'-এর সাথে তুলনা করে বিদ্রূপ করেছিল কে?
উত্তরঃ অনুপমকে 'মাকাল ফল'-এর সাথে তুলনা করে বিদ্রূপ করেছিল পণ্ডিতমশায়।
73. বলিলেন, সে কী কথা। লগ্ন' কে, কেন বলেছিল। প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বুঝিয়ে যাও।
উত্তর: কল্যাণীর বিয়ের গহনা পরীক্ষা করানোর পর শম্ভুনাথ বরপক্ষকে খাবার কথা বললে অনুপমের মামা অবাক হয়ে লগ্নের কথা উল্লেখ করে। অনুপমের মামা কল্যাণীর গয়না যাচাই করে দেখতে চাইলে শম্ভুনাথ সেনের আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। অনুপম এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করলে শম্ভুনাথ স্থির করেন তিনি এমন ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দেবেন না। তাই নিয়ম না থাকলেও শম্ভুনাথ বরকে বিয়ের পূর্বেই ধাওয়ার কথা বলেন। আর এতে বিস্মিত হয়ে অনুপমের মামা শম্ভুনাথকে লগ্নের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
74. 'অপরিচিতা' গল্পটি প্রথম কোথায় প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ অপরিচিতা' গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত মাসিক 'সবুজেপত্র পত্রিকার ১৩২১ বঙ্গাব্দের (১৯১৪) কার্তিক সংখ্যায়।
75. তারপর বুঝিলাম, মাতভূমি আছে। বুঝিয়ে লেখো।
উত্তরঃ পুনর্বার বিয়েতে রাজি না হওয়ায় কল্যাণী সম্পর্কে আলোচ্য উক্তিটি করেছে অনুপম। অনুপম কানপুরে এসে কল্যাণী ও তার পিতার সামনে হাতজোড় করে, মাথা হেঁট করে ক্ষমা চেয়ে আবার বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু কল্যাণী ততদিনে দাম্পত্য জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে, সে মনোযোগী হয়েছে দেশমাতকার সেবার প্রতি। তাই অনুপমকে ফিরিয়ে দিয়ে সে বলে মাত-আজ্ঞা আছে। অনুপম বুঝতে পারে, মাতু-আজ্ঞা মানে মাতৃভূমির জন্য কল্যাণীর উৎসর্গিত প্রাণ। তাই অনুপম বলেছে তারপর বুঝিলাম, মাতৃভূমি আছে।
76. অনুপমের বাবার পেশা কী ছিল?
উত্তরঃ অনুপমের বাবার পেশা ছিল ওকালতি।
77. এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি। ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ প্রশ্নোক্ত উক্তিটিতে অনুপম কল্যাণীর কাছাকাছি থাকা বলতে তার হাদয়ে জায়গা পাওয়ার কথা বুঝিয়েছে। কানপুরে পৌঁছে কল্যাণীর পরিচয় জানতে পেরে অনুপমের হৃদয় আবারো কল্যাণীর চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়। সে কল্যাণীকে বিয়ে করতে চাইলেও কল্যাণী রাজি হয় না। কল্যাণীর কাছাকাছি থাকার জন্য সে কানপুরেই বসবাস করতে শুরু করে। সুযোগ পেলেই সে কল্যাণীর কাজে সাহায্য করে। কল্যাণীর আশপাশে থাকার সুযোগটুকুকেই সে পরম পাওয়া মনে করে আর ভাবে- জীবনসঙ্গী হিসেবে পাইনি, কিন্তু কাছে থাকার সুযোগটুকুইবা কম কীসে
78. অপরিচিতা গল্পের মামা অনুপমের চেয়ে কত বছরের বড়ো?
উত্তরঃ অপরিচিতা গল্পের মামা অনুপমের চেয়ে ছয় বছরের বড়ো।
79. 'একে তো বরের হাট মহার্থ, তাহার পরে ধনুক-ভাঙা পণ।'- এই কথার অর্থ বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ পনেরো বছর বয়সেও কল্যাণীর বিয়ে না হওয়ার কারণ নির্দেশ করা হয়েছে উক্তিটির মাধ্যমে। কল্যাণীর বয়স পনেরো যা তৎকালীন সমাজব্যবস্থায় বিয়ের যোগ্য কন্যার জন্য অনেকটাই বেশি। মোটা টাকা পণ দিতে হয় বলে সুপাত্র মেলাই ভার। তবে এ ব্যাপারে কল্যাণীর বাবা চিন্তিত নয়। বয়স যতই হোক উপযুক্ত পাত্র হ্যাড়া কন্যার বিয়ে না দিতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তখনকার সমাজে কন্যার পিতার এরূপ মনোভাবের প্রকাশ ঘটতে সাধারণত দেখা যেত না।
8০. কোন কথা স্মরণ করে অনুপমের মামা ও মা একযোগে বিস্তর হাসিলেন?
উত্তরঃ গায়ে হলুদে কনের বাড়িতে যে সংখ্যক বাহক সিয়েছিল, তাদের আপ্যায়নে কল্যাণীদের কী রকম নাকাল হতে হবে, সে কথা স্মরণ করে অনুপমের মামা ও মা একযোগে বিস্তর হাসিলেন।
৪1. 'মেয়ের চেয়ে মেয়ের বাপের খবরটাই তাহার কাছে গুরুতর।'- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তরা বিয়েতে কল্যাণীর যোগ্যতার চেয়ে তার পিতা শম্ভুনাথ কী পরিমাণ পণ দিতে সক্ষম অনুপমের মামার কাছে সেটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। হরিশ অনুপমের মামার কাছে অনুপমের জন্য পাত্রীর সন্ধান দেয়। পাত্রীর কথা জানার চেয়ে মামার কাছে পাত্রীর বাবার বিষয়-সম্পত্তির ব্যাপারে জানার বেশি আগ্রহ দেখা যায়। রূপ বা গুণ নয় বরং তার বাবার আর্থিক সক্ষমতার মানদণ্ডে পাত্রীর যোগ্যতা যাচাই করে অনুপমের মামা। আলোচা উক্তিটিতে অনুপমের মামার যৌতুকলিদার নিকটি উন্মোচিত হয়েছে।
82. অনুপমের পিসতুতো ভাইয়ের নাম কী?
উত্তরঃ অনুপমের পিসতুতো ভাইয়ের নাম- বিনু।
83. 'আরপূর্ণার কোলে গজাননের ছোটো ভাইটি'- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ প্রমোক্ত উক্তিটিতে বাঙ্গার্থে দেবতা কার্তিকের সঙ্গে অনুপমের তুলনা করা হয়েছে। দেবী দুর্গার দুই পুত্র- অগ্রজ গণেশ ও অনুজ কার্তিক। দেবী দুর্গার কোলে দেব সেনাপতি কার্তিক অপূর্ব শোভায় ভাস্বর। বড়ো হয়েও অনুপম কার্তিকের মতো মায়ের কান্তাকাপ্তি থেকে মাতৃআজ্ঞা পালনে ব্যস্ত থাকে। তাই পরিণত বয়সেও তার আধীন ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে না। 'অপরিচিতা' গল্পের অনুপয় পরিবারতন্ত্রের কান্তে অসহায় ও বাতিস্মহীন একটি চরিত্র। উচ্চশিক্ষিত হলেও তার নিজস্বতা বলতে কিছু নেই। তাকে দেখলে মনে হয় আজও সে যেন মায়ের কোলে থাকা শিওয়ার। এজন্যই বাঙ্গ করে অনুপমকে গজাননের ছোটো ভাই কার্তিকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
84. 'অপরিচিতা' গল্পে কাকে গজাননের ছোট ভাই বলা হয়েছে?
উত্তরঃ 'অপরিচিতা' গল্পে ব্যাঙ্গার্থে অনুপমকে গজাননের ছোট ভাই বলা হয়েছে।
৮৫ "ঠাট্রেটার সম্পর্কটাকে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই' উক্তিটি কোন প্রসজো করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ অনুপমের সাথে কল্যাণীর বিয়ে ভেঙে দেওয়াটাকে অনুপমের মামা ঠাট্টা মনে করলে গম্ভুনাথ সেন একথা বলেছিলেন। অনুপমের মামা বিয়ের আগেই সেকরা দিয়ে কনের গায়ের গয়না যাচাই করে দেখেতে চান তা আসল কি না। এ কারণে শম্ভুনাথ সেন অপমানিত বোধ করেন। গয়না যাচাইয়ের ব্যাপারে পারের নির্লিপ্ততা দেখে তিনি এমন বাতিল্মহীন ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাই তিনি পাত্রপক্ষকে যথাযথ আপ্যায়নের পর গাড়ি ডেকে বিদায় দিতে চাইলে অনুপয়ের মামা এ বিষয়টি ঠাট্টা মনে করেন। এর জবাবে তিনি বলেন 'ঠাট্টার সম্পর্ককে স্থায়ী করিবার ইচ্ছা আমার নাই।'
86. 'অপরিচিতা' গল্পে কন্যাকে কী দিয়ে আগীবাদ করা হয়েছিল?
' উত্তরঃ অপরিচিতা' গল্পে কন্যাকে এয়ারিং দিয়ে আগীবাদ করা হয়েছিল।
87. 'কিন্তু ভাগা আমার ভালো, এই তো আমি জায়গা পাইয়াপ্তি' বক্তার এমন অনুভূতির কারণ বুঝিয়ে লেখো।
উত্তরঃ প্রয়োক্ত উক্তিটি দ্বারা অনুপম কল্যাণীর কাছাকাছি থাকা বলতে অসয়ে জায়গা পাওয়ার কথা বুঝিয়েছে। কানপুরে পৌঁখে কল্যাণীর পরিচয় জানতে পেরে অনুপমের হৃদয় আবারো কল্যাণীর চিন্তায় আল্যর হয়। সে কল্যাণীকে বিয়ে করতে চাইলেও কল্যাণী রাজি হয় না। কল্যাণীর কাছাকাছি থাকার জন্য সে কানপুরেই বসবাস করতে শুরু করে। সুযোগ পেলেই সে কল্যাণীর কাজে সাহায্য করে আর মনে করে হয়তো এভাবেই সে কল্যাণীর জলয়ে স্থান পেয়েছে।
88. বিবায় জাতার পর হতে কল্যাণী কোন প্রাক গ্রহণ করেছে?
উত্তরঃ বিবাহ অ্যাঙার পর থেকে কল্যাণী মেয়েদের শিক্ষা ব্রত গ্রহণ করেছে।
89 'আমার ভাগ্যে প্রজাপতির সঙ্গে পঞ্চগরের কোন বিরোধ নাই' বাকাটির তাৎপর্য কী?
উত্তরঃ প্রয়োক্ত বাক্যটিতে অনুপমের তাপোর সুপ্রসন্নতার কথা বলা হয়েছে। অনুপমের বিবাহের জন্যে কন্যাকে আর্শীবাদ করতে তার পিস্ততো থ্যাই কিনুকে পাঠানো হলো। সে ফিরে এসে কন্যার প্রশংসা করে। বিনু খুবই কচিশীল মানুষ, সে অল্প কথায় অনেক অর্থ প্রকাশ করে। সে যখন বলে খাঁটি সোনা, তখন অনুপমের বুঝতে বাকি থাকে না যে তার জন্যে যে পাত্রী পদ্মদ করা হয়েছে সে অনন্যা গুণসম্পন্না নারী। তার জাগো বিবাহের দেবতা প্রজাপতি ও প্রেমের দেবতা মদনের শুভদৃষ্টি পড়েছে। উত্তয় দেবতার মধ্যে কোনো রকম আশীর্বাদের বিরোধ নেই।
90. 'কন্সট' গব্দের অর্থ কী?
' উত্তরঃ কাট' শব্দের অর্থ নানা রকম বাদ্যযন্ত্রের ঐকতান।
91. অনুপমের মামার মন কীভাবে নরম হলো?
উত্তরঃ 'অপরিচিতা' গল্পের হরিণ অনুপমের মামার কাছে কল্যাণী ও তার পরিবারের প্রশংসা করার ফলে মামার মন নরম হতো।। বিয়ের পাত্রী তথা কল্যাণীর পারিবারিক অবস্থা, বংশমর্যাদার ব্যাপারে অনুপমের মায়াকে বিপদ বর্ণনা দেয় হরিণ। সেসব কথা শুনে তিনি আশ্বস্ত। হলেও কল্যাণীর বয়স বেশি মনে করে বিয়ে নিয়ে দ্বিধাগ্রস্তও হন। কিন্তু হরিণের ছিল নিজের সরস কথা দ্বারা মানুষের মনকে প্রভাবিত করার বিশেষ গুণ। তাই তো পরবর্তীতে তার কান্ড থেকে পাত্রীর নির্ভরযোগ্য প্রশংসা বাকা গুনে মামার মন নরম হয়েছিল।
92. কন্যাকে আপীবাগ করার জন্য তাকে পাঠানো হলো?
উত্তরঃ কন্যাকে আশীর্বাদ করার জন্য অনুপমের পিসতুতো ভাই বিনুদানাকে পাঠানো হয়েছিল।
93. অনুপমের মামা সেকরাকে বিয়ে বাড়িতে এনেছিল কেন?
উত্তরঃ অনুপমের মামা যৌতুকলোজী ও দ্বীন মানসিকতার মানুষ হওয়ায় বিয়ের গয়না পরীক্ষা করতে সেকরাকে বিয়ে বাড়িতে এনেছিল। কল্যাণীর বিয়েতে তার বাবা গম্ভুনাথ সেন নগদ পণের সঙ্গে গয়না দিতে চান। অনুপমের মামা শম্ভুনাথ সেনের কথায় আস্থাশীল ছিলেন না। কন্যাপক্ষ যে গয়না দেবে তা আসল না নকল মোট পরীক্ষা করার জন্য অনুপমের মামা বিয়ে বাড়িতে সেকরাকে সঙ্গে এনেছিল। সেকরা সমান্ত গয়নার বীটিত্ব প্রমাণ করেন।
94. কাকে 'মাকাল ফল' বলে বিদ্রূপ করা হয়েছে?
উত্তরঃ অনুপমকে 'মাকাল ফল' বলে বিদ্রূপ করা হয়েছে।
95. অনুপমের বিবাহ যাত্রার বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ অনুপম মহাসমারোহের সাথে বিয়ে করতে গিয়েছিল। ধনী ঘরের ছেলে অনুপম। তাই তার বিয়েতে ছিল আভিজাত্যের ছোঁয়া। ব্যান্ড, বাঁশি, কন্সট কোনো কিছুরই কমতি ছিলো না। দামি পোশাক ও বাহারি গয়নাতে জড়ানো ছিল অনুপমের শরীর। তাকে দেখে মনে হচ্ছিল সে ভাবী শ্বশুরের সঙ্গে আভিজাত্যের মোকাবিলা করতে বিয়ের আসরে যাচ্ছে
96. অনুপমের বন্ধু হরিশ কোথায় কাজ করে?
উত্তরঃ অনুপমের বন্ধু হরিশ কানপুরে কাজ করে।
97. "এককালে ইহাদের বংশে লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল।"- এখানে 'লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ "এককালে ইহাদের বংশে লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল।"- এখানে লক্ষ্মীর কৃপায় ঐশ্বর্যের ঘট পূর্ণ থাকাকে বোঝানো হয়েছে। 'অপরিচিতা' গল্পে কল্যাণীদের বর্তমান আর্থিক অবস্থাকে সামনে রেখে অতীতের আর্থিক অবস্থার পরিচয় পাওয়া যায়গাত্র বগল্পে অনুপমের মামা অনুপমের বিয়ে সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়ে কনে অপেক্ষা কনের পিতার আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে আগে খোঁজ নেন। কারণ সেটাই তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তখন তিনি জানতে পারেন যে এককালে কল্যাণীদের বংশে লক্ষ্মীর মঙ্গলঘট ভরা ছিল অর্থাৎ অনেক অর্থবিত্ত ছিল। বর্তমানে আর তাতে যা আছে তা একেবারে উপুড় করে দিতে কনের পিতা দ্বিধা করবেন না। প্রশ্নোক্ত বাকাটিতে এ দিকটিই নির্দেশ, করা হয়েছে।
98. কল্যাণীর পিতার নাম কী?
উত্তরঃ কল্যাণীর পিতার নাম শম্ভুনাথ সেন।
99, "এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি"- ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ "এই তো আমি জায়গা পাইয়াছি।" উক্তিটির মাধ্যমে অনুপম আত্মতুষ্টি লাভের প্রয়াস পেয়েছে। 'অপরিচিতা' গল্পে অনুপমের মামার লোভী ও হীন মানসিকতার কারণে কল্যাণীর সঙ্গে অনুপমের বিয়ে ভেঙে গেলে সে বিরহে জর্জরিত হয়। একারণেই পরবর্তীতে মনস্তাপে ভেঙে পড়া অনুপম কল্যাণীকে বিয়ে করতে না পেরেও তার কাছাকাছি থাকতে চেয়েছে। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর একদিন মাকে নিয়ে তীর্থে যাওয়ার পথে কল্যাণীকে দেখে মুগ্ধ হয় অনুপম। এরপর তার কাছে ও তার পিতার কাছে ক্ষমা চায় অনুপম। সবকিছু ছেড়ে সে বছরের পর বছর কানপুরে কল্যাণীর কাছাকাছি থাকে। কল্যাণী তাকে ক্ষমা করে দিলেও বিয়েতে রাজি হয়নি। তবুও অনুপম তার দেখা পায়, কণ্ঠ শোনে, সুবিধামতো তার কাজ করে দিয়ে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করে নিতে চায়। কল্যাণীকে আশ্রয় করে সেই আনন্দেই সে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেছে।
100. অনুপমের বাড়ি কোথায়?
উত্তরঃ অনুপমের বাড়ি কলকাতায়।
101. "কই, কিছুই তো হয়নি বাবা।" ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ "কই, কিছুই তো হয়নি বাবা।" উক্তিটিতে বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় কল্যাণীর মনের অবস্থা প্রসঙ্গে অনুপমের কল্পিত চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে। অপরিচিতা' গল্পে অনুপমের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর কল্যাণীর নাকি বেশ ভালো পাত্র জুটেছিল। অথচ সে বিয়ে করবে না বলে পণ করেছে। এই কথা শুনে অনুপম মনে মনে খুশি হয়। এ বিষয় নিয়ে সে ভাবে, কল্যাণী হয়তো তার বিরহেই এমন, সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তখন অনুপম তার শূন্যতায় ক্রন্দনরত কল্যাণীর রূপ কল্পনা করে। আর অনুপমের কল্পনাতেই কল্যাণী তার মানসিক অবস্থা সম্পর্কে নিজ বাবার প্রশ্নের জবাবে প্রশ্নোক্ত উত্তর প্রদান করে।
102. 'অপরিচিতা' গল্পটি প্রথম কোন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়?
উত্তরঃ 'অপরিচিতা' গল্পটি প্রথম 'সবুজপত্র' পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
103. "তার পরে বুঝিলাম, মাতৃভূমি আছে।" - উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ "তার পরে বুঝিলাম, মাতৃভূমি আছে।" কথাটি অনুপম কল্যাণীর নারীশিক্ষার ব্রত গ্রহণ সম্পর্কে বলেছে। 'অপরিচিতা' গল্পে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর থেকে কল্যাণী বিয়ে না করার পণ করে। তার এই প্রতিজ্ঞা থেকে কেউ তাকে টলাতে পারেনি। দেশের কল্যাণে সে জাগতিক মোহ ত্যাগ করে মেয়েদের শিক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এটাই তার মাতৃ-আজ্ঞা তথা মাতৃভূমির সেবা। মাকে নিয়ে ট্রেনে যাওয়ার সময় অনুপম প্রথম কল্যাণীকে দেখে। অনেকদিন পর কল্যাণীকে খুঁজে পেয়ে অনুপম কল্যাণীকে পুনরায় বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কল্যাণী সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে না হয়ে তার মাতৃ-আজ্ঞার কথা বলে। আসলে কল্যাণী দেশমাতার নারীদের শিক্ষিত করবে বলে আর বিয়ে করতে রাজি নয়। নারীশিক্ষার মাধ্যমে কল্যাণী যে দেশসেবার ব্রত গ্রহণ করেছে সেটি বুঝেই অনুপম প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে।
104. বেহাই সম্প্রদায়ের কী থাকা দোষের?
উত্তরঃ বেহাই সম্প্রদায়ের তেজ থাকা দোষের।
105. "নিতান্ত এক ছেলে বলিয়া মা আমাকে ছাড়িতে পারেন নাই।" বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ "নিতান্ত এক ছেলে বলিয়া মা আমাকে ছাড়িতে পারেন নাই।" - এ কথা বলতে পরিবারের সঙ্গে অনুপমের সম্পর্কের অবনতির দিকটিকে বোঝানো হয়েছে। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কিছুকাল পর অনুপম তার মাকে নিয়ে তীর্থ যাত্রার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। ঘটনাক্রমে তারা একই কামরায় সিট পায়। তখন সে কল্যাণীকে দেখতে পায়। এই ঘটনা অনুপমের মনে গভীর রেখাপাত করে। আর তাই মা ও মামার মতামতকে অগ্রাহ্য করে সে কানপুরে কল্যাণীর বাবার কাছে যায়। এই ঘটনায় মামার সঙ্গে তার সম্পর্ক, নষ্ট হলেও একমাত্র ছেলে বলে মা তার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে পারেন না। মায়ের মতামতকে অগ্রাহ্য করে অনুপমের কানপুরে কল্যাণীদের কাছে থেকে যাওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলা হয়েছে।
106. বরযাত্রীর দল কীসের পালা সেরে বের হয়ে গেল?
উত্তরঃ বরযাত্রীর দল দক্ষযজ্ঞের পালা সেরে বের হয়ে গেল।
107. "তবে আপনাদের গাড়ি বলিয়া দিই"- উক্তিটি কাকে উদ্দেশ্য করে কেন করা হয়েছে?
উত্তরঃ "তবে আপনাদের গাড়ি বলিয়া দিই"-' কথাটি শম্ভুনাথ সেন বলেছেন অনুপমের মামাকে উদেশ্য করে তার হীন মানসিকতার জন্য। 'অপরিচিতা' গল্পে কল্যাণীর বিয়ের গহনা পরখ করে দেখার জন্য অনুপমের মামা সেকরা নিয়ে বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হন এবং গহনা পরীক্ষা করে দেখেন। মেয়ের বিয়েতে বাবা বেশি খাদ মেশানো সোনা দেবেন বা মেয়ের বিয়ের গহনায় ফাঁকি দেবেন এমন ধারণা যারা পোষণ করে শম্ভুনাথ সেন তাদের কাছে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। তিনি কৌশলে বরপক্ষকে খাওয়ানো শেষ করেন। তারপর তাদের বিদায় দেওয়ার জন্য তিনি সেন অনুপমের মামাকে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেন।
108. ঠাট্টার সম্পর্ককে কে স্থায়ী করতে চাননি?
উত্তরঃ ঠাট্টার সম্পর্ককে শম্ভুনাথ সেন স্থায়ী করতে চাননি।
109. অনুপম তার মামাকে ভাগ্যদেবতার প্রধান এজেন্ট বলেছে কেন?
উত্তরঃ অনুপম তার মামাকে ভাগ্যদেবতার প্রধান এজেন্ট বলেছে, তার জীবনের কোনো সিদ্ধান্ত সে মামাকে ছাড়া নিতে পারে না বলে। 'অপরিচিতা' গল্পে অনুপম শিক্ষিত হলেও একজন ব্যক্তিত্বহীন' যুবক। সেকরা দিয়ে কনের গহনা যাচাই করার হীন কাজেও সে মামার বিরোধিতা করতে পারেনি। অনুপমের মামাই তাদের সংসারে সর্বেসর্বা। মামার মতামতের বাইরে তার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। অনেক বড় ঘর থেকে অনুপমের সম্বন্ধ এলেও মামার বিশেষ মত থাকার কারণে সেসব সম্বন্ধ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই মামা অনুপমের জীবনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছেন। এসব কারণে অনুপম তার মামাকে ভাগ্যদেবতার প্রধান এজেন্ট বলেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post